ফেনীর সোনাগাজীতে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমাম হোসেন (৩৫) ও তার সহযোগী রিয়াদকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইমাম হোসেন চরদরবেশ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেনেরখীল গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের আবু ইউসুফের ছেলে। তার সহযোগী রিয়াদ লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার চরলরেজ গ্রামের সিরাজের ছেলে।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত বুধবার দুপুরে অটোরিকশায় করে রিয়াদ ইমামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কাজীরহাটের একটি বাসায় নিয়ে আটকে রেখে রাতভর রিয়াদ ও ইমাম পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এর পর তারা বাইরে থেকে দরজায় তালা মেরে আমাকে বন্দি অবস্থায় রেখে চলে যায়।
পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আমাকে বাসা থেকে বের করে রিয়াদ ও ইমাম ৬০০ টাকা দিয়ে ইমামের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আমার পরিবারের লোকজন এসে আমাকে ইমামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলা না করতে ওই কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসামিরা। পরে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী মডেল থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন ও তার সহযোগী রিয়াদকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। এর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সোনাগাজী উপজেলা সভাপতি মো. ফারুক হোসেন জানান, ইমাম হোসেন ষড়যন্ত্রের শিকার। এর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে অপরাধী হলে প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। তবে এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার (ডিএনএ) পরীক্ষা করার জন্য বলেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হাসান ইমাম যুগান্তরকে বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।